সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যান্ডোস্কপি মেশিনের সাহায্যে সফল অপারেশন করে ১৭৪ টি পাথর অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছেন। গত রোববার সকাল দশটা থেকে বিকাল দুইটা পর্যন্ত সামেকের আবাসিক সার্জন ও ইরোলজিস্ট বিভাগের ডা. রাশিদুজ্জামানের নেতৃত্বে মেডিকেল টিম অপারেশনের কার্যক্রম শুরু করেন।
ভুক্তভোগী রোগী ঝিনাইদহ পৌরসভার আরাপপুর গ্রামের বাসিন্দা সেকেন্দার আলীর পুত্র মো. আব্দুল মান্নান সম্প্রতি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সি এ আর এম এক্সরে মেশিনের সাহায্যে তার কিডনীর পাথর সনাক্ত করা হয়।
গত রোববার ইউরোলজিস্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মোজাম্মেল হকের উপস্থিতিতে সামেকের আবাসিক সার্জন (সার্জারি) বিভাগের ডা. রাশিদুজ্জামান পেট না কেটে পিটের পিছনে ছোট একটি ছিদ্র করে পিসি এন এল কিডনির পাথর অ্যান্ডোস্কপি পদ্ধতিতে কিডনির পাথর অপসারণ করা হয় এ সময় একে একে মেশিনের সাহায্যে ১৭৪টি পাথর বাহির করা হয়। সাধারণত অধিক সংখ্যক পাথর এক কিডনিতে থাকা একটি বিরল ঘটনা হিসাবে দেখছেন চিকিৎসকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা বিভাগের মধ্যে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাড়া এই পদ্ধতিতে আর কোথাও কোন সরকারি হাসপাতালে এই জটিল অপারেশন করা হয় না ।
অপারেশনের সময় উপস্থিত ছিলেন সামেকের সহকারী সার্জন ডা. আবুবকর মামুন শরীফ এনেস্থেসিয়া ডা. আশরাফুল ইসলাম এসিস্ট্যান্ট মোকলেছ, সঞ্জয় কাদের।
এ বিষয়ে সামেকের আবাসিক সার্জন (সার্জারি) ও ইউরোলজিস্ট ডা. রাশেদুজ্জামান জানান এটি একটি জটিল ও কঠিন অপারেশন। এই অপারেশন পদ্মার এপারে একমাত্র সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোথাও করা হয় না। সামেকে এই ধরনের কঠিন অপারেশন করতে পেরে সামেক একটি দৃষ্টন্ত স্থাপন করেছে।
টিএইচ